• ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, সোমবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Memari Municipality

রাজ্য

তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভবিক্ষোভ সামাল দিতে বর্ধমানে নামাতে হল র‍্যফ

পৌরসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই পূর্ব বর্ধমানেও শুরু হয় যায় ক্ষোভ বিক্ষোভ। শনিবার সকাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের ক্ষোভবিক্ষোভে উত্তাল হয় শহর বর্ধমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যফও নামাতে হয়।একইরকম ভাবে ক্ষোভবিক্ষোভে উত্তপ্ত হয় জেলার মেমারি, কালনা ও গুসকরা পৌরসভা এলাকাও। মূলত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবীতেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা এদিন সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেদেন। মেমারির ৫ নম্বর ওর্য়াডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ এদিন বিক্ষোভে সামিল হন কৃষ্ণপদ বিশ্বাসকে প্রার্থীপদ থেকে সরানোর জন্য। প্রার্থী বদলের দাবিতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে পোস্টার দেওয়া হয়।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল কর্মীদের দাবী ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাগত প্রার্থী তাঁরা চান না। অবিলম্বে প্রার্থীপদ পরিবর্তন করে ওয়ার্ডের বাসিন্দাকেই প্রার্থী করতে হবে। একই ভাবে এদিন জেলার গুসকরা পৌরসভা এলাকাতেও প্রার্থী বদলের দাবিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এখানকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের একাংশ ৩, ৫, ৯ ও ১৬ ওয়ার্ডের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে স্বোচ্চার হন। দল গুসকরার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করলেও প্রাক্তন কউন্সিলার জগা তুরিকেই ফের প্রার্থী করার দাবি উঠেছে। অন্যদিকে প্রার্থী বদলের দাবি নিয়ে এদিন শহর বর্ধমানের মেহেদিবাগান এলাকাতেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জিটি রোড অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। তারই মধ্যে বর্ধমান পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী চায়না কুমারীর সমর্থনে প্রচারে বের হন তার অনুগামীরা। তখনই তাদের ঘিরে বিরোধী গোষ্ঠী বিক্ষোভ দেখানো শুরু করলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ ও র্যফ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। একইদিনে বর্ধমান রাজবাড়ির সামনে পথ অবরোধে সামিল হল তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। তাঁরা বর্ধমান শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন কাউন্সিলার শাহাবুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শাহাবুদ্দিন এলাকায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ করেননি। উনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এমনকি এলাকার এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনাতেও শাহাবুদ্দিন খান পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল বলে বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেন। দল এবারেও শাহাবুদ্দিন খানকে প্রার্থী করেছে।তাঁকে প্রার্থীপথ থেকে সরানোর দাবি তুলে পথে নামেন তৃণমূল কর্মীদের একংশ। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৩ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডও বিক্ষোভে উত্তাল হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দলের নেত্রী মিঠু সিংহের নাম প্রার্থী তালিকায় ঘোষিত হয়েছে। তাঁকে প্রার্থীপদ থেকে সরিয়ে ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীকে প্রার্থী করার দাবী তুলেছেন বিক্ষুব্ধরা। তারা শহরের পার্কাস রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রার্থী বদলের দাবিতেও শ্লোগানও দেন। প্রার্থী নিয়ে এদিন জেলার কালনা পৌরসভা এলাকাতেও বিক্ষোব ছড়ায়। কালনার ১৩ নম্বর ওয়াডের প্রার্থী মঞ্জু হালদারের বদলের দাবীতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের একাংশ। তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য শনিবার কালনার জুবলি স্টারের পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, প্রার্থী তালিকা বেরনোর পর অনেক জায়গায় ক্ষোভ দেখা গেছে, কর্মীদের আমি বলব সংযত থাকতে, যদি প্রার্থী পছন্দ না হয়ে থাকে তাহলে দলের নেতৃত্বকে জানান। পাশাপাশি তিনি আরও সংযোজন করেন অনেকেই ভোটের আগে দুনৌকাতে পা দিয়েছিলেন, সেই সমস্ত মানুষ যদি প্রার্থী হয়ে যান তাহলে এটা হওয়া স্বাভাবিক। তবে জেলার কাটোয়া ও দাঁইহাট পৌরসভায় প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও তা আপাতত প্রকাশ্যে আসেনি।তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, এটা অভিমান।একে বিক্ষোভ বলা যাবে না। আর দলই প্রার্থী ঠিক করেছে। সেটা দলের সিদ্ধান্ত। সবাইকে মেনে নিতে হবে। গুসকরা পৌরসভার প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই লাগাতার বিক্ষোভের জেরে দুটি ওর্য়াডে প্রার্থী বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার বিকালে বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে বৈঠকে প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নেয় গুসকরা পৌরসভার পর্যবেক্ষ অনুব্রত মণ্ডল। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী দীর্ঘদিনের পাঁচবারের কাউন্সিলর মল্লিকা চোংদারের বদলে পূর্নিমা চৌধুরীকে প্রার্থী করা হয়। ৫ ওয়ার্ডের প্রার্থী মুনমুন মালিকের বদলে রিঙ্কু মালিক প্রার্থী করা হয়

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল- বিজেপিকে টেক্কা, পূর্ব বর্ধমানের ৬টি পৌরসভায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা বামেদের, তৃণমূল বিধায়কের প্রার্থী তালিকা ফাঁস মেমারিতে

রাজ্য রাজনীতিতে ২০১১ সালে পালাবদলের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে ভোটক্ষয় হয়ে চলেছিল বামেদের। সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে সেইভোটক্ষয়ে কিছুটা লাগাম পরাতে সক্ষম হয় বামেরা। আসন সংখ্যার নিরিখে না হলেও ভোট প্রাপ্তির শতাংশ হারের বিচারে তিলোত্তমা কলকাতায় বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বামেরা। আর কলকাতা পুরভোটে অক্সিজেন পেয়েই এবার একদা বাম দুর্গ পূর্ব বর্ধমানের ছয়টি পৌরসভার নির্ফাচনেও জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া সিএপিএম। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পৌরসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে। এর ঠিক পরেই জেলার ৬ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েই শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভোট প্রচারে নেমে পড়েন সিপিএম নেতা কর্মী ও প্রার্থীরা। শাসক নেতৃত্ব বামেদের প্রার্থি ঘোষণার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে না চাইলেও বিধায়কের তৈরি করা প্রার্থী তালিকা নিয়ে মেমারির তৃণমূল শিবিরে এখন ক্ষোভ বিক্ষোভ চরমে উঠেছে। বাম আমলে বলিষ্ঠ সিপিএম নেতা বিনয় কোঙারের গড় হিসাবেই পরিচিত ছিল মেমারি। সেই মেমারির দলীয় কার্যালয়ে থেকেই এদিন মেমারি পৌরসভার ১৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি কেউ এদিন প্রর্যন্ত তাঁদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেনি ।প্রার্থীদের নাম ঘোষণা কেরেই নিবাসী সিপিআইএম জেলা নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এদিন থেকেই তাঁরা ভোট যুদ্ধে নেমে পড়বেন। যেমন কথা তেমনই কাজ। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েই বাম নেতা কর্মীদের একদল দেওয়াল লিখন আর অন্য দল বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো শুরু করেদেন।তবে বামেদের আগে তৃণমূলের মেমারিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে না পারাটা শাসক দলের নিচু তলার কর্মীদের যথেষ্টই হতাশ করেছে। গত পৌরসভা নির্বাচনে মেমারি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী।৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। এছাড়াও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন পিডিএস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ।বাকি সব আসনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।এখনও মেমারি পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে তৃণমূলের মনোনীতরাই রয়েছেন।এদিকে দল মেমারি পুরসভার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্যের নির্দিষ্ট করা প্রার্থীদের নাম। যা নিয়ে মেমারির পৌর এলাকার তৃণমূল শিবিরে যথেষ্টই ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিক্ষুদ্ধদের দাবি, মেমারির বিধায়ক মধুসূদনবাবু নিজের অনুগতদের মেমারি পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।যাঁদের তিনি চিহ্নিত করেছেন তাঁদের নাম, ফোন নম্বার ও কোন ওয়ার্ডে কে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তার তালিকা নিজের বিধায়ক প্যাডে ছাপিয়েছেন। তাতে স্বাক্ষর ও শিলমোহর দিয়ে মধুসূদনবাবু ওই নামের তালিকার লোকজনকেই মেমারির প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করার জন্য সুপারিশ করে ১৭ জানুয়ারি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন। ওই সুপারিশ পত্রে মেমারি পৌরসভার দুবারের চেয়ারম্যান ও বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটর স্বপন বিষয়ীকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও তোলাবাজ বলে অবিহিত করেছেন। আর তা নিয়েই পৌরসভা ভোটের প্রাক্কালে মেমারি শহর জড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার কথা। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যদি মেমারির তৃণমূল বিধায়কের সুপারির করা ব্যক্তিদেরই পুরভোটে প্রার্থি করে তবে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হবে বলে মনে করছেন দলেরই অনেকে। তেমনটা হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াইয়ে জমজমাট হবে মেমারি পৌরসভার নির্বাচন। ওই তালিকা বিষয়ে মেমারির বিধায়ক মধূসূদন ভট্টাচার্য্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , নিজের অবজারভেশন মোতাবেক প্রার্থী প্রস্তাবপত্র তৈরী করে ছিলেন। তারপর দলের উচ্চ নেতৃত্ব জানিয়ে দেন তারাই মেমারি পর ভোটের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে সার্ভে করছেন। তাই তিনি আর তার প্রস্তাব পত্র রাজ্যে পাঠাননি। বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটার স্বপন বিষয়ী সন্মন্ধে যেসব যে অভিমত লিখেছেন তার প্রসঙ্গে মধুসূদন বাবু বলেন ,অ্যালিগেশন নিয়ে পাবলিকের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ওনার বিরুদ্ধে আমার পার্সোনাল অবজারভেশন আমি লিখেছি। স্বপন বিষয়ী যদিও বিধায়কের করা প্রার্থী নির্বাচন তালিকা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, দলের রাজ্য নেতৃত্ব যথা সময়েই মেমারির পৌর ভোটে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করবেন। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরীন বিরোধ যখন তুঙ্গে সেই সময়েই মেমারির পর বর্ধমান, গুসকরা, কাটোয়া,কালনা ও দাঁইহাট পৌরসভার প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করেদেন সিপিএম নেতারা। এদিন বিকালে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমানের জেলা দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে করে নেতারা ওইসব পৌরসভার বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তাপস সরকার, অপূর্ব চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বর্ধমান পৌরসভার নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য বামেদের এবারের প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু নতুন মুখ স্থান পেয়েছে। তালিকায় ফরোয়ার্ড ব্লকের ৪ জন এবং আর এস পির ২ জনের নাম রয়েছে। মোট ৩৫ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নাম ঘোষিত হয়েছে। দলের দুই ছাত্র নেতা অনির্বাণ রায়চৌধুরী; অতনু হুই; অরিন্দম মৌলিক; মুনমুন হালদারের মত তরুণ মুখের প্রতিনিধিরা রয়েছেন এবারের ভোট যুদ্ধে । ২০১৩ সালে বর্ধমান পুরসভা ভোটের দিন সকালেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সব প্রার্থী তুলে নেয় বামেরা। তারা জানিয়েছেন ; এবারে প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করুক।তা সত্বেও তারা শেষ অবধি ময়দানে থাকবেন।গুসকরা, কাটোয়া,কালনা ও দাঁইহাটের প্রার্থী তালিকায় বাম নেতৃত্ব পুরনোদের পাশাপাশি বহু নতুন মুখকে নিয়ে এসেছেন। একেবারে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জেলার ৬ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মেমারি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ সিপিএমের

সিপিআইএম র প্রাক্তন বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি, জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোঙার, জেলা কমিটির সদস্য সনৎ ব্যানার্জি, প্রশান্ত কুমার কুমার, পিযুষ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে মেমারি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হল। শাসকদল না পারলেও পুরসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা সাথে সাথে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করল সিপিআইএম নেতৃত্ব।বৃহস্পতিবার মেমারির দলীয় কার্যালয়ে থেকে তারা পৌরসভার ১৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি কেউ এখনও পর্যন্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেননি। সিপিআইএম নেতৃত্ব প্রার্থী ঘোষণা করেই জানিয়ে দেন এ দিন থেকেই তারা ভোট যুদ্ধে নেমে পড়বেন। শুরু করে দেবেন বাড়ি বাড়ি প্রচার।সিপিএমের প্রার্থী তালিকামেমারি পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে এখন তৃণমূলের মনোনিতারাই রয়েছে। গত পৌরসভা নির্বাচনে মেমারি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। এছাড়াও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন পিডিএস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। বাকি সব আসনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মায়ানগরীতে কী চমক দেখান মেসি, তা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে

হতে পারত মেসিময় এক স্মরণীয় সন্ধ্যা। কিন্তু বাস্তবে তা পরিণত হল চরম বিশৃঙ্খলায়। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এসেও লিওনেল মেসিকে দেখতে পেলেন না দর্শকরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্টেডিয়াম। ভিড় ও বিশৃঙ্খলার জেরে যুবভারতী ছেড়ে দ্রুত বেরিয়ে যান মেসি। স্টেডিয়াম থেকেই তিনি রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।কলকাতার অভিজ্ঞতা সুখকর না হলেও সন্ধ্যাবেলায় হায়দরাবাদে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি দেখা যায়। সেখানে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয় গোট ট্যুর-এর অনুষ্ঠান। গোটা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন মেসি। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে ফুটবল খেলেন তিনি। কিছুক্ষণ পায়ে বল নাচান আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী তারকা। আলোয় সাজানো স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে মেসি রাহুল গান্ধীকে একটি সই করা জার্সি উপহার দেন।গোট ট্যুর-এর পরবর্তী গন্তব্য মুম্বই। মায়ানগরীতে কী চমক দেখান মেসি, তা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ায় একটি প্যাডেল ম্যাচে অংশ নেবেন তিনি। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন তেণ্ডুলকর। এরপর বিকেল পাঁচটায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ। ৭ বনাম ৭ জনের সেই ম্যাচে অংশ নেবেন বলিউডের একাধিক তারকা। মাঠে উপস্থিত থাকবেন মেসি এবং সেখানেই শচীনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা।ওয়াংখেড়েতেই দর্শকরা মেসিকে কাছ থেকে দেখতে পারবেন। এছাড়াও নির্দিষ্ট আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য একটি ফ্যাশন শো এবং নিলামের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আর্জেন্টিনার ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের স্মারক প্রদর্শিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে জ্যাকি শ্রফ, জন আব্রাহাম ও করিনা কাপুরের মতো বলিউড তারকাদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।এর আগে কলকাতায় উদ্যোক্তাদের ব্যর্থতায় ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ক্ষুব্ধ দর্শকদের একাংশ বোতল ছোড়ে, ভাঙচুর চালানো হয় ফেন্সিং ও চেয়ার। ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কলকাতার সেই ব্যর্থ আয়োজনের রেশ কাটতে না কাটতেই এখন নজর মুম্বইয়ে, সেখানে কি অবশেষে মেসির ম্যাজিক দেখতে পাবেন দর্শকরা, সেটাই বড় প্রশ্ন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
কলকাতা

মেসির সঙ্গে হায়দরাবাদ যাওয়ার আগেই গ্রেফতার, ১৪ দিনের হেফাজতে শতদ্রু

শনিবার মেসির সঙ্গে হায়দরাবাদ যাওয়ার কথা ছিল অন্যতম আয়োজক শতদ্রু দত্তর। কিন্তু তার আগেই সিআইএসএফ ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। রবিবার তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।রবিবার প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পর শতদ্রুকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সেই সময় কয়েকজন বিজেপি কর্মী আদালত চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের হাতে ছিল গেরুয়া পতাকা ও চপ্পল। পুলিশ বাধা দিলে বিজেপি কর্মীরা প্রশ্ন তোলেন, শনিবার যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলার সময় পুলিশ কী করছিল। তাঁদের অভিযোগ, ২০ টাকার জলের বোতল ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। আদালত চত্বরে তখন চোর-চোর স্লোগান ওঠে।এ দিন আদালতে সরকারি আইনজীবী স্পষ্ট জানান, এই ঘটনায় কোনও ভাবেই যাতে শতদ্রু দত্ত জামিন না পান। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত, তা জানার জন্য আরও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা প্রয়োজন। অন্য দিকে, শতদ্রুর আইনজীবী আদালতে বলেন, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর দাবি, শতদ্রু শুধু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, বিশৃঙ্খলার জন্য তিনি একা দায়ী নন। হেফাজতের সময়সীমা কমানোর আবেদনও জানান তিনি।প্রসঙ্গত, শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চরম বিশৃঙ্খলার ঘটনার পরই পুলিশ শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করে। আগেই এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় কাউকেই রেয়াত করা হবে না। ঘটনার পর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের হয়। একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। বিএনএস-এর ১৯২, ৩২৪, ৩২৬, ১৩২, ১২১, ৪৫ ও ৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি মোটর ভেহিকলস আইন এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর সংক্রান্ত পিডিপিপি আইনের ধারাও যোগ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

আইসিসির অনুরোধ উড়িয়ে, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাল না ভারত

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলায়নি ভারত। সেই ছবি আগেই দেখা গিয়েছে সিনিয়র দলের ম্যাচে। এবার নজর ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে। দেখার ছিল, পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটাররা হাত মেলায় কি না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়েও একই ছবি দেখা গেল। আইসিসির অনুরোধ উপেক্ষা করেই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাল না ভারতীয় দল।টসের সময়েও দুই দলের মধ্যে করমর্দন হয়নি। টসে জিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক ফারহান ইউসুফ প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। ভারত ব্যাট করতে নামে। মাঠের বাইরের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চললেও মাঠের ভিতরে শুরু হয় লড়াই।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ব্যর্থ হলেন ভারতের তরুণ ব্যাটার বৈভব। অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রেরা কিছুটা স্বচ্ছন্দে শুরু করলেও বৈভব আলি রাজার বলের সামনে বারবার সমস্যায় পড়েন। শেষ পর্যন্ত ১৪ বছর বয়সি বৈভব ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন। মহম্মদ সায়ামের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। আগের ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে ৯৫ বলে ১৭১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান পেলেন না তিনি।এর আগেও সিনিয়রদের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে করমর্দন না করার নীতি বজায় রেখেছিল ভারত। তিনবার পাকিস্তানকে হারালেও টসের আগে বা পরে হাত মেলাননি সূর্যকুমার যাদবরা। এমনকি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভির কাছ থেকে ট্রফি নেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সেই ট্রফি এখনও হাতে পায়নি ভারত।একই নীতি দেখা গিয়েছিল মহিলা দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। হরমনপ্রীত কৌরদের দলও পাকিস্তানের সঙ্গে করমর্দন করেনি। যদিও অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ক্ষেত্রে আইসিসি চেয়েছিল, মাঠে যেন রাজনীতির ছায়া না পড়ে। গোটা বিষয়টির উপর নজরও রেখেছিল ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। তবু শেষ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হাত মেলানোর ছবি দেখা গেল না।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
বিদেশ

ফের আমেরিকায় বন্দুকবাজের তাণ্ডব, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যু দু’জনের

ফের আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শনিবার আইভি লিগের অন্তর্ভুক্ত ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিংয়ে আততায়ীর গুলিতে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত আট জন। আচমকা এই হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা ক্যাম্পাসে।ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিল। শনিবার ছিল পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন। সেই সময়ই গুলির শব্দে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন পড়ুয়া ও কর্মীরা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি জানিয়েছেন, আইভি লিগ ক্যাম্পাস জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং আততায়ীর খোঁজে অভিযান চলছে।হামলার প্রায় দুঘণ্টা পরেও ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের ঘরের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশ সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলাকারীর পরনে ছিল কালো পোশাক। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে হামলার পর বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। আততায়ীকে চিহ্নিত করতে জোরকদমে তদন্ত চলছে। যদিও প্রথমে একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হলেও পরে জানা যায়, তাঁর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

কাঁপুনি ধরাচ্ছে শীত! কলকাতা থেকে দার্জিলিঙে তাপমাত্রা নামছে আরও

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পৌঁছতেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শীতের আমেজ স্পষ্ট। সকাল ও রাতের দিকে ঠান্ডা হাওয়ায় কাঁপছে শহর থেকে জেলা। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে শীত আরও তীব্র আকার নিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী চার থেকে পাঁচ দিন রাজ্য জুড়েই একই রকম আবহাওয়া বজায় থাকবে। তাপমাত্রা আরও সামান্য নামতে পারে।ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাংলায় শীতের উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মাসের তৃতীয় সপ্তাহেও এই শীতের আমেজ অটুট থাকবে। আগামী সাত দিন দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত বড় কোনও তাপমাত্রা পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই।হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। কলকাতার আকাশ বেশিরভাগ সময় পরিষ্কার থাকবে। সকালে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে, তবে বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশপাশে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৩ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.২ ডিগ্রি কম। আপাতত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই।উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট আরও বেশি। শৈলশহর দার্জিলিঙে তাপমাত্রা নেমেছে ৪ ডিগ্রির ঘরে। উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নিচের জেলাগুলি যেমন মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

বোমা-গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গেল ১২ বছরের কৌসেরার! ইসলামপুরে তীব্র উত্তেজনা

এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। বোমাবাজি ও গুলির মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার নাম কৌসেরা বেগম। বয়স ১২ বছর। সে ইসলামপুর থানার মাটিকুণ্ডা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ঝলঝলি এলাকার বাসিন্দা। কৌসেরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। স্থানীয় সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই রফিক আলম ও নুর আলমের মধ্যে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ চলছিল।মৃত নাবালিকার বাবা জাহিদ আলম রফিক আলমের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে নুর আলমের অনুগামীরা জাহিদ আলমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় একের পর এক বোমা ফাটানো হয় এবং গুলিও চলে। এই হামলার মধ্যেই ছররা গুলিতে গুরুতর জখম হয় কৌসেরা।তড়িঘড়ি নাবালিকাকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নাবালিকার মৃত্যুর খবর ছড়াতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।রবিবার সকালেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল চলছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, পুরনো জমি বিবাদ থেকেই এই অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তিনি এলাকায় যাবেন। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেন্ডুক শেরপা বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে বড় চমক! অধিকার যাত্রায় নামছে মিম

ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ নজর পড়েছে মুর্শিদাবাদ ও মালদহে। কারণ, বাংলায় ধীরে ধীরে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন বা মিম। ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করতেই এবার মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে শুরু হচ্ছে AIMIM-এর অধিকার যাত্রা।দল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অধিকার যাত্রার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ন্যায্য দাবি, বঞ্চনা এবং অধিকারকে সামনে রেখে জোরালো আন্দোলনের বার্তা দেওয়া হবে। এই যাত্রায় উপস্থিত থাকবেন AIMIM-এর রাজ্য সভাপতি ও মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আসাদুল শেখ। তাঁর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি আরও শক্তিশালী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।সম্প্রতি মালদহে মিমের সক্রিয়তা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা বেড়েছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সন্ধ্যা নামলেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন দলের কর্মীরা। অনেক মানুষ, যাঁরা আগে এই দলের নামও শোনেননি, তাঁরাও এখন সরাসরি মিমের সঙ্গে যোগাযোগ পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বাংলায় মিমের প্রভাব বাড়ছে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সদ্য শেষ হওয়া বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসনে জয় পেয়েছে AIMIM। সেই ফল প্রকাশের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে দলটির তৎপরতা অনেকটাই বেড়েছে। একাধিক জেলায় সংগঠন গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি মালদহেও অনেক মানুষ মিমে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি দলের।মিম নেতৃত্ব জানিয়েছে, মালদহ জেলার ১২টি বিধানসভার প্রতিটিতেই তারা প্রার্থী দেবে। এর মধ্যে সাতটি বিধানসভায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদও রয়েছে দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য তালিকায়। এর আগেই হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, তিনি মিমের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে পারেন। তার মধ্যেই অধিকার যাত্রা শুরু হওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কলকাতায় বিতশ্রদ্ধ, হায়দরাবাদে হাসিমুখ মেসি! কেন এত ফারাক?

ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) দেখে হাসিতে ভরে উঠল হায়দরাবাদ। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে বল পাস করার চেষ্টা, মাঠ জুড়ে হাঁটাহাঁটি, দর্শকদের দিকে শট, খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলানোসব মিলিয়ে আবেগে ভাসলেন মেসি। এমন দৃশ্য কলকাতাতেও দেখা যেতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। যে শহর ফুটবলের পাগল বলে পরিচিত, সেই কলকাতাই মেসিকে (Lionel Messi) হাসিমুখে ফিরিয়ে দিতে পারল না। উল্টো দিকে হায়দরাবাদ দেখাল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি।হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সন্ধে ৭টা ৫৫ মিনিট নাগাদ পৌঁছন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ল্যুই সুয়ারেজ় এবং রড্রিগো ডিপল। প্রথমে তাঁরা ভিআইপি বক্সে বসে প্রদর্শনী ম্যাচ উপভোগ করেন। এরপর মাঠে নামেন মেসি (Lionsl Messi)। সঙ্গে ছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। মুখ্যমন্ত্রী পুরো ফুটবল জার্সি পরে মাঠে নামেন। মেসির দিকে বল পাস করার চেষ্টা করলেও সফল হননি। অন্যদিকে সহজ ভঙ্গিতেই গোল করেন এলএম১০। তখন মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উল্লাস।মাঠে নেমে এক গাল হাসি নিয়ে গোটা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন মেসি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলান। দর্শকদের দিকে শট মারেন। গ্যালারিতে বসে থাকা প্রায় ৪০ হাজার দর্শক তখন আবেগে ভেসে যান। হাততালি, চিৎকারে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। মেসির মুখে ছিল ম্যাচ জেতার পরের সেই চওড়া হাসি ।কলকাতায় এই ছবিটা দেখা যায়নি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভিড়ের ঠেলাঠেলি, বিশৃঙ্খলা আর ভাঙচুরের জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মেসি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় মেসির গোট ট্যুরে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েও পড়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে হয়। কারণ ততক্ষণে যুবভারতী ছাড়েন মেসি। স্টেডিয়ামের ভিতরে তখন ভাঙচুর চলছিল।কলকাতা থেকে হায়দরাবাদে পৌঁছলেও মেসির মুখে ক্লান্তির ছাপ ছিল না। বরং কলকাতার তুলনায় অনেক বেশি স্বস্তিতে ও খুশি দেখায় তাঁকে। কারণ সেখানে অনুষ্ঠান ঘিরে কোনও হুড়োহুড়ি বা অযথা ভিড় ছিল না। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তবে তিনি মেসির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য ভিড় করেননি। বরং ছোট ফুটবলার বা শিশুদের আগে জায়গা করে দেন। পরে তাঁকে মেসির সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। তাঁর এই সৌজন্য সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।কলকাতায় যেখানে রাজনৈতিক নেতা ও অতিথিদের সঙ্গে ছবি তোলার ভিড়েই ঢেকে গিয়েছিল মেসিকে দেখার সুযোগ, সেখানে হায়দরাবাদে দর্শকরাই ছিলেন কেন্দ্রবিন্দুতে। কলকাতায় অনেক দর্শক ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করেও মেসির মুখটুকু দেখতে পাননি। হায়দরাবাদে দর্শকরা পেয়েছেন মাঠের মেসিকে, হাসি, শট আর আবেগে ভরা মুহূর্ত (Lionesl Messi)।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মেসির হায়দরাবাদ সফর অনেক আগে থেকে ঠিক ছিল না। কলকাতা, মুম্বই বা দিল্লির মতো শহরের তালিকায় প্রথমে ছিল না হায়দরাবাদ। শেষ মুহূর্তে সংযোজন হয় এই শহরের নাম। তবুও ভিড় সামলে, সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে নজির গড়ল নিজামের শহর। আর কলকাতা? সেই ছবি ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্ব দেখে ফেলেছে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal